নিজস্ব প্রতিবেদন ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩২ এ.এম
আওয়ামী লীগের শাসনামলে কীভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছিল, তা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে যে ফ্যাসিবাদ হয়েছে, সেটা ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্য দিয়ে হয়নি, ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রতারণা করার কারণে হয়েছে।’
তার মতে, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার সঙ্গে প্রতারণা করে, ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে, ধর্মীয় নিপীড়নকে নানাভাবে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করার চেষ্টা করে, মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করে এবং জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস: ভূমিকা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শিরোনামে আয়োজিত পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এ সভার আয়োজন করে।
সভায় জননিরাপত্তা, সংবিধান, শিক্ষা, দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি, শ্রমিক, কৃষকের সংকটসহ ১৩টি বিষয়ে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অন্য সদস্যরা।
সংবিধানের মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশের কঠোর সমালোচনা করে সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিলে বহুত্ববাদ কী করে হয়? কারণ, ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই হচ্ছে যে রাষ্ট্র সব ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে। কোনো ধর্মের ব্যাপারে পক্ষপাত থাকলে বহুত্ববাদ কী করে হবে?’
সংবিধানের মূলনীতি থেকে সমাজতন্ত্র বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত প্রস্তাবেরও সমালোচনা করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন যেভাবে বলছে সমাজতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা, তারা তো নিশ্চয়ই জানে যে পুঁজিবাদের যেমন অনেক রকম মডেল আছে, সমাজতন্ত্রেরও বিভিন্ন ধরন আছে।...তার চেয়ে পরিষ্কার করে বলুক সমাজতন্ত্র বাদ দিয়ে পুঁজিবাদ গ্রহণ করা হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো বর্তমান সরকারই করে ফেলতে পারে। কিন্তু সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে—এই অপ্রয়োজনীয় একটা বিতর্কের কথা শোনা যাচ্ছে। কিছু কিছু সংস্কার এই অন্তর্বর্তী সরকারই করতে পারে, আবার কিছু কিছু সংস্কার আছে যেগুলো করার জন্য নির্বাচিত সরকার দরকার। অন্তর্বর্তী সরকারই যেগুলো করতে পারে, সেগুলো করতে বাধা কোথায়, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় বোঝা যেত আদালতের রায় কী হবে। এখনো বোঝা যায় যে রায় কী হবে। তাহলে পরিবর্তনটা কী হলো? কে জামিন পাবে, কে খালাস পাবে, কে আটক থাকবে, কার জামিন হবে না, এগুলো তো পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বাইরের জানা-অজানা বিভিন্ন ধরনের গোষ্ঠীর প্রভাবে যদি আদালত চলে, তাহলে এই সরকার যে সংস্কার বা পরিবর্তন করতে আগ্রহী, তার প্রকাশটা কোথায়?
সভায় সংবিধান ও বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলেন— আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ‘কৃষি ও কৃষকের সংকট’ নিয়ে বক্তব্য দেন লেখক-গবেষক মাহা মির্জা।
এছাড়া, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে বক্তব্য দেন চিকিৎসক মো. হারুন-অর-রশিদ। শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছায়েদুল হক। শিল্প ও শ্রমিকের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন শ্রমিকনেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস। দ্রব্যমূল্য ও অর্থনীতি নিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা বাকি বিল্লাহ। হরিজন জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কথা বলেন সীমা দত্ত। পাহাড় ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হেমা চাকমা। নারী ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী বিষয়ে বক্তব্য দেন ফেরদৌস আরা রুমী।
নগরভবনে বিরতিহীন কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন ইশরাক
ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিঝুম দ্বীপ হবে মালদ্বীপ’
‘মায়ের সঙ্গে ঈদ করছেন জয়, কিন্তু লাখ লাখ নেতাকর্মী পরিবারছাড়া’
গোটা জাতি লন্ডনের দিকে তাকিয়ে, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত: রিজভী
এক সপ্তাহে ১৩ লাখ টাকা গণচাঁদা সংগ্রহ এনসিপির
খালেদা জিয়ার এক পরামর্শেই বদলে গেল রাজনৈতিক দৃশ্যপট
ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠকে কী কী আলোচনা হতে পারে, জানালেন প্রেস সচিব
তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জামায়াত আমির
নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
অন্য কোনো দেশ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করুক, এটা কাম্য নয়: জামায়াত আমির
গুম ও শহীদ পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার
বুলু ও দুদুকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল বিএনপি
জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে এই সাংবাদিকরাই হাসিনার কদমবুচি করতো: হাসনাত
লন্ডন যাচ্ছেন আজ, রাজনীতি নিয়ে এখনই ভাবছেন না ডা. জুবাইদা
তাজউদ্দীনের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয় কিভাবে? সারজিসের পোস্ট
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শেখ মুজিব মাঠে ছিলেন না : সারজিস
মোস্তফা জামাল হায়দারের সুস্থতায় দোয়া চাইলেন রাশেদ প্রধান
প্রধান উপদেষ্টা জবাব দেন না, মিষ্টি হাসি দিয়ে বিদায় করে দেন: মান্না
নির্বাচনি রোডম্যাপ দিতে দেরি হলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অনুপস্থিতিতে বাজেট বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ অনিশ্চিত : মঈন খান
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা দেরি হলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠবে: মির্জা ফখরুল
বিদেশী এজেন্টদের আমরা চিহ্নিত করে ফেলেছি: ইশরাক
আমাদের ওপর মনঃক্ষুণ্ন হবেন না, প্রধান উপদেষ্টাকে সালাহউদ্দিন
আন্দোলনে জীবন দেয় একজন, স্যুটেড-বুটেড হয়ে ক্ষমতায় বসে আরেকজন: রিজভী
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে সীমা অতিক্রম না করতে হুশিয়ারি: আব্দুল মোনায়েম মুন্না
সংস্কার নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে হবে: চরমোনাই পীর
উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের রাখা বিরাট ভুল হয়েছে: মেজর (অব.) হাফিজ
‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে একক দলের ভাবা উচিত নয়’
ছাত্রদল সভাপতির পদ হারানোর খবরটি ভুয়া: সাধারণ সম্পাদক নাছির