মিজানুর রহমান মিজান ২১ মার্চ ২০২৫ ০৭:১৬ পি.এম
উপরের কথাটা এজন্যই বললাম,যখন বলা হয় ছাত্ররা দেশ চালাতে পারবে না,ছাত্রদের যোগ্যতা নেই ,ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্ব নেই, তাহলে সে কথা শুনে অবাক লাগে। কারণ ছাত্রদের ছাত্রত্ব রইলো কোথায়?
ছাত্রদেরকে এই তাসছিল্য করার মাধ্যমে এক প্রকার অপমান করা হলো।!বিশ্বাস হয় না।চলুন একটু আলোচনা করি।
আসলে, ছাত্র কারা?ছাত্ররা কি? তারা কি মানুষ না পশু পাখি? তারা কি বিষয়ের ছাত্র?
ছাত্ররা যদি কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে থাকে, তারা যদি সুশিক্ষায় স্বশিক্ষিত হয়, তারা যদি মানুষ হয়,তাহলে মানুষ হিসেবে মানুষের প্রয়োজনীয় জৈবিক চাহিদা হল জ্ঞান আহরণ করা!জ্ঞান আহরণ করতে যারা ইচ্ছুক তারা মূলত হল ছাত্র বা শিষ্য।
এখন বলুন তো বাংলাদেশের যে ছাত্ররা আন্দোলন করলো তারা কি বিষয়ের ছাত্র!তারা কি মাঠে-ঘাটে গরু কেমনে চরাতে হয় সেটাই শিখেছে? না তারা মাঠে-ঘাটে কেমন করে কৃষিকাজ করতে হয় সেটা শিখেছে? এসব ছাত্রদের মধ্যে কি শিক্ষানীতি, রাষ্ট্রনীতি, পৌরনীতি, সমাজনীতি,অর্থনীতি, এসবের জ্ঞান নাই?আবার এমন তো নয় আমাদের শিক্ষালয় থেকে যে ছাত্ররা বের হয় তারা এক একটা চাঁদাবাজ তৈরি হয়েছে!
আমাদের দেশের বিদ্যালয়গুলোতে দেশের সন্তানদের যে শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যদি তারা আমাদের দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে নাই পারে!তাহলে আমাদের দেশের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা দেওয়া হয় কিসের?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি রাষ্ট্র গঠনের কারিগর তৈরি করার পরিবর্তে গরু-ছাগল চড়ানোর রাখাল তৈরি করে। কৃষিবিদ,অর্থনীতিবিদ, চিকিৎসাবিদ ,প্রকৌশলী , বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ইত্যাদি তৈরি করার পরিবর্তে খেয়া ঘাটের মাঝি তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো?
রাষ্ট্র গঠন আর রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য কি কি দরকার?
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতি রাখার জন্য জনগণের উপর যখন তখন করের বোঝা চাপানো। আর কিছু অশিক্ষিত মূর্খ নেতাদের দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন দখল করে জনগণ তথা রাষ্ট্রের সম্পদ নয় ছয় করাই কি রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনা।শুধুমাত্র কি রাজনীতিবীদরাই রাষ্ট্র গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে! যদি তাই হয়,তবে রাষ্ট্র গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থার বিলুপ্তি করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কেননা রাষ্ট্রের এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্র যদি তার নেতৃত্ব তৈরি করতে না পারে তাহলে এই শিক্ষার ব্যবস্থার দরকার কি। রাষ্ট্রের কথিত মাথামোটা রাজনীতিবিদেরা স্বাধীনতার এত বছরেও রাজনীতির নামে জনগণের মৌলিক অধিকারের চাহিদা পূরণ করতে পারল না কেন? রাজনীতির নামে তারা রাষ্ট্রকে শোষণ করে ,আবার তারা বড় বড় কথা বলে।
রাজনীতিবিদেরা কতজন কৃষিবিদ তৈরি করতে পারছেন কতজন অর্থনীতিবিদ, কতজন চিকিৎসাবিদ , কতজন প্রকৌশলী কতজন বিজ্ঞানী কতজন শিক্ষাবিদ ইত্যাদি তৈরি করতে পারছেন?
মনে হয় না এদেশের রাজনীতিবিদের তৈরি করতে পারছেন। কারণ এদেশের রাজনীতিবিদেরা রাজনৈতিক দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা নিজেদের আখের গোছাতে বেশি ব্যস্ত থাকে। জনগণের মৌলিক অধিকারের কথা ভুলে গিয়ে তারা নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়তে বেশি ব্যস্ত হয়। কারণ যাদেরকে রাজনীতির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাদের ভিতরে ওই বিষয়ের রাজনৈতিক গুণাবলীর কিছুই নাই। তাইতো তারা দেশের জন্য কোন নেতৃত্ব তৈরি করতে পারে না।তবে, দেশের জন্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পেরেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পর্যন্ত। এখন নাই। বিশ্বাস হয়না!
আপনি একটু আপনার নিজ এলাকার পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করে দেখুন তো। বর্তমানে যারা রাজনীতি করে তাদের মূল পেশা টা কি? তারা লেখাপড়ায় জ্ঞানার্জনে কতটা শিক্ষিত। তাদেরকে যে বিষয়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়, আদৌ কি তাঁরা সেই বিষয়ের নেতৃত্বের যোগ্য?
আমার তো মনে হয় রাজনীতি করতে গিয়ে যারা নেতা হয় তারা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী। না হলে,ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়ালেখা না করেও তারা ইউপি সদস্য থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্ত নির্বাচিত হয়ে আমাদেরকে নেতৃত্ব দেয় কিভাবে! তাদের তো নেতৃত্ব দেয়ার মত কোন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নাই। বলতে গেলে বিষয়টা অনেকটা এরকম,"লেখা নাই পড়া নাই অমুকের ভাই ডাক্তার"।
রাজনীতিবিদেরা রাজনীতির মাধ্যমে পেয়ে যায় আলাদিনের চেরাগ। একসময়ের নেতার অশিক্ষিত মূর্খ চামচাও হয়ে যায় সমাজের উচ্চ পর্যায়ের নেতা। তাও আবার জ্ঞানে নয় অর্থের কারণে। কারণ ভাত ছড়ালে যেমন কাকের অভাব হয় না, পয়সা ছড়ালে ঐরকম মানুষের অভাব হয় না। কিন্তু বোঝার বিষয় হলো ,ছাগল কি আর হাল চাষ হয়!
আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক শিক্ষাবিদ তৈরি করেছেন অনেক কৃষিবিদ তৈরি করেছেন অনেক চিকিৎসাবিদ অনেক প্রকৌশলী অনেক বিজ্ঞানী অনেক রাজনীতিবিদ তৈরি করেছেন। তারা রাষ্ট্রের জন্য কি করতে পেরেছেন? আমরা কি তাদেরকে তাদের অর্জিত জ্ঞানকে স্বাধীনভাবে আমাদের রাষ্ট্রের জন্য কাজে লাগানোর সুযোগ দিতে পেরেছি?
হ্যাঁ পেরেছি। তবে তাদেরকে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করার জন্য নয়। তাদের অর্জিত জ্ঞানকে আমাদের রাষ্ট্রের জন্য কাজে লাগানোর পরিবর্তে তাদেরকে রাজনীতিবিদেরা গোলাম বানিয়ে রাখতে চায়। যার কারনে রাষ্ট্রের সব জায়গায় দুর্নীতির চিত্র ফুটে ওঠে। আমরা আমাদের শিক্ষিত সমাজকে তাদের তাদের অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার পরিবর্তে তাদের স্বাধীনতাকে আটকানোর জন্য আমরা এমন কিছু নেতা তৈরি করে দিয়েছি,যাদের ভিতরে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয় জ্ঞানটুকু নাই। এই সমস্ত জ্ঞানহীন নেতারা যে আদেশ করেন, সেই আদেশ বাস্তবায়ন করা ছাড়া একজন শিক্ষাবিদ ,চিকিৎসাবিদ কৃষিবিদ অর্থনীতিবিদ রাজনীতিবীদের উপায় থাকে না।
একজন চাঁদাবাজ একজন দুর্নীতিবাজ কোথা থেকে আবির্ভাব হয়? জঙ্গল থেকে, নাকি মঙ্গল গ্রহ থেকে?
বাংলাদেশের ইতিহাসে যত চাঁদাবাজ দুর্নীতিবাজ তৈরি হয়েছিল তা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের ছত্র ছায়ায় তৈরি হয়েছিল। এ কথাটা মানলেও সত্য না মানলেও সত্য। কারণ যেখানেই কোন অনিয়ম বিশৃঙ্খলার চিত্র ফুটে ওঠে সেখানেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। যারা সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তারাই নাকি সমাজের নেতা!
রাজনীতিবিদের কাজ কি?সমাজের মঙ্গল বয়ে আনা নাকি সমাজ ধ্বংস করা?
যদি সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে আনা তাদের কাজ হয়ে থাকে তাহলে তারা সমাজকে ধ্বংস করে জনগণকে শোষণ করে তারা অর্থের দিক থেকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয় কি করে! নেতাদের জনসেবা করতে করতে, সম্পদ বিলিয়ে দিতে দিতে ফকির হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখন, এখনকার নেতারা সম্পদের পাহাড় গড়তে গড়তে বুর্জ খলিফা হয়ে যায়!এ সমস্ত নেতৃত্ব দিয়ে জাতি তার স্বপ্নের রাষ্ট্র কিভাবে গঠন করবে সেটা একবার বোঝার বিষয়।
ছাত্ররা বয়সের দিক থেকে দুর্বল হতে পারে, কিন্তু তারা দক্ষতা ও একতার দিক থেকে অনেক উপরে। তা না হলে, স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সেটা ছাত্ররা পূরণ করতে পারত না।
ছাত্রত্বের প্রতি নয়, ছাত্রদের নেতৃত্বের প্রতি সম্মান করুন।আপনাদের নেতৃত্ব যদি এতই শক্তিশালী হয় তাহলে ১৬ বছরে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পারলেন না কেন? এটা কি আপনাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতা নয়?
নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ ভাবা, বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। ব্যর্থতা ছাড়া কখনো সফলতা আসে না। দেশের রাজনীতিবিদরা যদি ব্যর্থ না হতেন তাহলে ছাত্ররা এগিয়ে আসতো না। স্বৈরাচার বিদায় হতো না ।ছাত্র নেতৃত্বের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কিন্তু কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্ন স্বৈরাচার কে বিদায় করতে পেরেছেন। এখন যদি ছাত্রদের নেতৃত্ব মেনে নিতে কষ্ট হয়, তাহলে একটা আইন করা হোক, নির্দিষ্ট বয়সের আগে রাজনীতিতে প্রবেশ নয়।অথবা যারাই রাজনীতিবিদ হোক না কেন , রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মতামত কে মূল্যায়ন করতে হবে। কেননা ছাত্ররা খাদ্য, বস্ত্র ,বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, রাষ্ট্রনীতি, পৌরনীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস,ভূগোল সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা কি টোটো কোম্পানি হয়ে ঘুরবে? এক একটা চাঁদাবাজ তৈরি হবে?
"মূর্খ বৈদ্য কিন্তু আজরাইলের সমান"।"
যে দেশ গঠনের লড়াইয়ে সকলের উন্মুক্ত অংশগ্রহণ না থাকে,সে দেশ কখনো সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারে না"।
তাই সকলের প্রতি আহ্বান রাখতে চাই, ছাত্রত্বের প্রতি নয় ছাত্রদের নেতৃত্বের প্রতি নজর রেখে আপনাদের নেতৃত্বের সঙ্গে ছাত্রদের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী বাংলাদেশ গঠনের একটা রূপরেখা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
নামাজের শিক্ষা ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্র গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের
ডাকযোগে চিঠিতে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে
নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে: নয়ন
পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচন : মঈন খান
ফারাক্কা বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে : মির্জা ফখরুল
জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড উপদেষ্টা মাহফুজ : রাশেদ খাঁন
জবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে গড়িমসি কেন, প্রশ্ন সারজিসের
নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা : রাকিব
আপিলের জন্য জোবাইদার ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা হাইকোর্টের
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে: জুলাই ঐক্য
আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
সাবেক এমপি মমতাজ বেগম গ্রেপ্তার
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণই এ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: আসিফ মাহমুদ
আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত: নুর
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাল বিএনপি
পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান : তারেক রহমান
অন্তর্বর্তী সরকারও হাসিনার মতো নানাভাবে ন্যারেটিভ তৈরি করছে: রিজভী
বিএনপির সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন তামিম ইকবাল
‘ট্যাগিং দিয়ে থামাতে পারবেন না, আ.লীগ নিষিদ্ধ করতেই হবে’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরতরা
ঢাকা ছাড়াও আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন হয়েছে যেসব জায়গায়
সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘুর ওপর নিরাপত্তা নির্ভর করে না : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হবে না : আমিনুল হক
আ. লীগ নিষিদ্ধে যমুনার গণমিছিলে রাজপথে আসার আহ্বান সাদিক কায়েমের
মামলায় নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে: সারজিস আলম
‘দ্রুত নির্বাচন না দিলে পরিণতি বিগত সরকারের মতোই হবে’