শনিবার ০৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
রাজনীতি

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদন ১০ অক্টোবার ২০২৪ ১১:১৩ এ.এম

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব- এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়; সেক্ষেত্রে শুধু বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারও যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শুনাব। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে সুষ্ঠুধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ- সবার সমর্থনে সরকার। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যাকারী যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের শিকার হয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ- সেই দল বিএনপি। কিন্তু কেন যেন মনে হয় উপদেষ্টারা একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন। 

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে। কী এমন ঘটনা আছে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পাচ্ছেন না।  অথচ গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। আর এখন জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণের ইচ্ছা তারা তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না। 

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তার বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তার দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা-এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছেন। 

বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট করতেন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে। কারণ তিনি চাইতেন শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট যেন সব সময় ভারি থাকে। পকেট যেন খালি না হয়। তাই বাজারের পর বাজার মার্কেট আওয়ামী লোকেরা দখল করে রাখত। ঢাকা শহরে এমন কোনো বাজার নেই যে বাজারে সিন্ডিকেট করেনি আওয়ামী লীগের লোকজনেরা। কিন্তু এখন তো তারা নেই। তাহলে মোটা চাল-মাঝারি চাল কেন কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এখন কেন তেলের লিটারে ৬টাকা বেড়েছে, বয়লার মুরগি কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে- এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। জনগণ চায় সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার। তাই বাজার মনিটরিং তীব্রতর করা হোক।

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপিকে একই পাল্লায় মাপার চেষ্টা করে। বিএনপির নামে কেউ কেউ দখলদারি, চাঁদাবাজি করতে পারে। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে ৫ শতাধিক জনকে বহিষ্কার করেছি, তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। কই মিডিয়ায় তো এ কথা লেখা হয় না। তারেক রহমানের নির্দেশে দখলদারিত্বে যার নাম পাওয়া যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটাই তো পার্থক্য। 

তিনি বলেন, অথচ নারায়ণগঞ্জে ত্বকীকে হত্যার পর সংসদ সদস্য হয়েছেন শামীম ওসমান। আর সংসদে শেখ হাসিনা বলেছেন- শামীম ওসমান আমার পরিবোরের লোক। আমরা তো তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা সামান্য অপরাধ করলে, এমনকি কথাবার্তায় মানসিকভাবে আহত  হয়েছেন তথ্য পেলেও ব্যবস্থা নিচ্ছি এ সংবাদ তো লেখা হয় না। আমরা যদি অসৌজন্যমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করতাম শেখ হাসিনার শাসনামলে এতো গুম খুন করা হয়েছে, যারা তাদের আপনজনকে হারিয়েছে, আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হতে দেখছি এ ধরনের লেখা দেখতে পাই না। বরং নানা কায়দায় নানাভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রিজভী বলেন, মহৎ উদ্যোগ নিয়ে মহানগর উত্তরের নেতারা কর্মসূচি নিয়েছেন। গত ১৫ বছরের গণধিক্কৃত শাসক শেখ হাসিনা, তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য শিশুর বুক থেকে রক্ত কেড়েছেন, কিশোর-তরুণ রিকশাচালকের বুক থেকে রক্ত ঝড়িয়েছেন। দেশের বরেণ্য ব্যক্তি যারা এমপি-মন্ত্রী ছিলেন ও কাউন্সিলর ছিলেন তাদের ঘায়েব করে দিয়েছেন। ভয়ংকর এক দানব স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার কবল থেকে মুক্তির জন্য যারা লড়াই করেছেন, সেই লড়াইয়ে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার যোগ্যতম জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, গত জুলাই মাসের গণহত্যা আর আগস্টে আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমি রচনা করেছিলেন দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়ে তারেক রহমান। বিএনপির লাখো লাখো নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি- এইবারই শেখ হাসিনার পতন হবে। কারণ আমাদের সন্তানেরা, ছোট ভাইরা রাস্তায় নেমেছে। দুরন্ত সাহস নিয়ে নেমেছে- তাদের বুকে রক্ত ঝড়েছে। তারপরও তারা তাদের বন্ধুকে পানি খাওয়ানোর জন্য মুগ্ধর মতো ছুটে বেড়িয়েছে। রংপুরে আবু সাঈদ সাহস করে শেখ হাসিনার পুলিশের গুলি বুকে নিয়েছে; জীবন দিয়েছে। কত রক্ত কত আত্মদান কত শহিদি লাশ আমরা দেখেছি। এই লাশের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না। এই রক্ত-লাশের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্রের পথের যাত্রার যে পরিবেশ- আমরা কিনেছি। তাদের রক্ত দিয়েই এটা কিনা হয়েছে। আজকে যারা অন্তর্বর্তী সরকার উনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। উনার প্রতি প্রত্যেকে সমর্থন দিয়েছেন, তার নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন। কারণ এই বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষটি যিনি দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছেন তাকে ১০ তলা ভবনের লিফট বন্ধ রেখে হাঁটিয়ে তোলা হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার আগুন। 

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা যাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করতেন তাকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোনো চক্রান্ত নেই যা করেননি। তার চক্রান্তের প্রথম শিকার দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। জরাজীর্ণ কারাগারে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হিয়েছিল বছরের পর বছর। তার চোখে অপারেশেন, হাটুতে অপারেশন, অনেক জঠিল রোগ। তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল যাতে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যায়।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল ফখরুদ্দিন-মঈনদ্দিন। তারা শরারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। এ নির্যাতনে আজও তিনি স্বাভাবিক হতে পারছেন না। এ কিছু নিয়ে আমরা ১৫/১৬ বছর পার করেছি। তাই বলতে চাই- যাদের ওপর আস্থা রেখে অতিক্রম করলাম তারা যেন কোনো ভাবে তাদের পথ থেকে বিছিন্ন না হন। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জনকল্যাণের রাজনীতি, জিয়াউর রহমানের রাজনীতি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদল নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।


এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

ফাঁসির দড়ি ছাড়া হাসিনার দেশে ফেরা নয় : এনসিপি নেতা মাহিন

news image

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ

news image

আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল করে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

news image

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

news image

আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল হতে পারে না : হাসনাত আব্দুল্লাহ

news image

‘নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠছি কিনা, খেয়াল রাখতে হবে’

news image

সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য : তারেক রহমান

news image

সোমবার দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে ফিরবেন দুই পুত্রবধূও

news image

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ, মঞ্চে চলছে গান

news image

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন জোবাইদা-শামিলা ও তাবিথ আউয়াল

news image

এপ্রিলে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা হলো না কেন?

news image

রাজধানীতে ছুটির ৩ দিনে তিন জনসমাবেশ

news image

পরিষ্কার করে বলেন নির্বাচনটা কখন হবে: মির্জা ফখরুল

news image

অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে যাচ্ছেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন

news image

শেরেবাংলা ফজলুল ছিলেন উপমহাদেশের বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ : তারেক রহমান

news image

বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না : আমির খসরু

news image

আ.লীগ কীভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, জানালেন আনু মুহাম্মদ

news image

মাস্টার্স শেষে হল ছেড়ে দিচ্ছেন ঢাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

news image

‘সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের মাঝে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে’

news image

সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না জামায়াত

news image

‘অনির্বাচিত সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে অনেক দিকে ক্ষতির শঙ্কা আছে’

news image

কেন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন, জানালেন ডেসটিনির রফিকুল

news image

চট্টগ্রামে ‘শেখ হাসিনা ফোর্সের’ ঝটিকা মিছিল, আটক ৩

news image

অপরাধী আ.লীগ নেতাদের জামাই আদরে আদালতে হাজির করা হচ্ছে, রিজভী

news image

ধানমন্ডি লেক পরিষ্কারে যুবদল নেতাকর্মীরা

news image

৫ আগস্ট স্পিকারসহ ১২ জন সংসদে লুকিয়ে ছিলাম, আদালতে পলক

news image

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করার কোনো দরকার নেই : দুদু

news image

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চান শাজাহান খান

news image

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

news image

‘সরকার ও দলের প্রধান একই ব্যক্তি হতে পারবে না- প্রস্তাবে একমত নয় বিএনপি’