ফেরারি মিজান ২১ মে ২০২৫ ১০:৫৯ এ.এম
রাষ্ট্র একটি বৃহত্তম সমাজব্যবস্থা।রাষ্ট্র সমাজের একটি বসবাসের জায়গা। মানুষ একত্রিত হয়ে তৈরি করে এক একটি সমাজ। আর অনেকগুলো সমাজের নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি বৃহত্তম সমাজ।যার নাম রাষ্ট্র। আমার মতে, রাষ্ট্র একটি বৃহত্তম সমাজ ব্যবস্থা। সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। প্রতিটা সমাজের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বা বৃহত্তম সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটা সমাজের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব। রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটা সমাজের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্যতা তৈরি হয়।রাষ্ট্র সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখে। রাষ্ট্র সমাজব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা বা সমাজব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা ,প্রয়োগ ও উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে সমাজব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখে।
কিন্তু এই বৃহত্তম সমাজ ব্যবস্থা বা রাষ্ট্রব্যবস্থা কে টিকিয়ে রাখা বা এর উন্নয়নের জন্য কি কি করা প্রয়োজন? এক কথায় বলতে গেলে, নেতৃত্ব প্রয়োজন। নেতৃত্ব বাছাইয়ের বা তৈরি করার প্রক্রিয়া হল নির্বাচন। নির্বাচন হলো একটা প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে জনগণ তার মতামত ব্যক্ত করার মাধ্যমে পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচিত
করেন। যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত লাভ করেন তিনি হন পরিবার বা সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতা।
নির্বাচিত নেতৃত্বের দায়িত্ব
জনগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত প্রদানের মাধ্যমে একজন নেতৃত্ব তৈরি করেন। জনগণ তার পছন্দের নির্বাচিত নেতাকে কিছু সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব অর্পণ করেন। জনগণের মৌলিক অধিকার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কিছু দায়িত্ব নির্বাচিত নেতার কাছে অর্পিত হয়। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, ও বাসস্থানের মত মৌলিক অধিকারের দায়িত্ব ।রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পরিকল্পনা, উন্নয়ন, সংস্কার ও সংরক্ষণ ইত্যাদি।
জনগণের উপকারিতা
জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেন এই আশায় যে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়েই মানুষের বসবাসের অভ্যাস। সমাজবদ্ধ বসবাসের ফলে মানুষের কিছু সামাজিক ও মৌলিক অধিকার প্রয়োজন। সামাজিক ও মৌলিক অধিকার সঠিকভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মানুষের রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। যার গুরুদায়িত্ব নির্বাচিত নেতৃত্বের উপর।এর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র সামনের দিকে অগ্রসর হয়।
নেতৃত্ব নির্বাচনে সমস্যা
জনগণ তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয় কর্তৃত্বের নয়। এ দায়িত্ব পালনে যারা ব্যর্থ হয়ে জনগণ তাদেরকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় মতামত প্রদানের মাধ্যমে।
কিন্তু সমস্যা হল যখন আমরা নেতৃত্ব নির্বাচন করতে যাই। নির্বাচিত সরকারের অধীনে যখন স্থানীয় নির্বাচন হয় তখন জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বা নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে পারেন না। কেননা রাষ্ট্র চলে একটা গুষ্টি ও দলের মতামতের উপর। কারণ সরকার গঠন করে রাষ্ট্র চালায় একটা গোষ্ঠী বা দল। তাই স্থানীয়ভাবে জনগণ তাদের পছন্দন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে বাধা প্রাপ্ত হয়। যেহেতু স্থানীয় নির্বাচন রাষ্ট্রের একটা গুষ্টি বা দলের অধীনে হয়ে থাকে তাই স্থানীয় পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবানগোষ্ঠী বা দলের কর্তৃত্ব বজায় থাকে।
স্থানীয় নির্বাচন কিন্তু রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়। স্থানীয় নির্বাচন হলো একটি সামাজিক নির্বাচন। স্থানীয় নির্বাচনে জনগণ তাদের সবচেয়ে কাছের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চায়। স্থানীয় একটি সমাজ তার পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করে স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে। স্থানীয় নেতৃত্ব সমাজ গঠন সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখে।
কোনটা আগে হওয়া দরকার
বিগত স্বৈরাচার সরকার সামাজিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার মাধ্যমে কিন্তু রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছিল। নির্বাচনে জনগণ জন প্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দেয় কর্তৃত্ব নয়! কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কর্তৃত্ব লাভ করে দায়িত্ব নয়। কারণ তখন দলীয় প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কারণে স্থানীয় জবাবদিহিতার পরিবর্তে জনপ্রতিনিধিরা দলীয় নেতার বা নেতৃত্বের কারণে জবাবদিহিতার অন্তরায় চলে যায়। অথচ প্রতিটি নেতৃত্বই কিন্তু জবাবদিহিতার আওতায় থাকা উচিত।
যেহেতু নির্বাচিত রাষ্ট্রীয় সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনগণ সুবিধার পরিবর্তে বঞ্চিত হয় তাই অনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া জরুরী।
একটু বিশ্লেষণ! ধরুন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় বা সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রীয় সরকার গঠন করবে। রাষ্ট্র কাঠামো ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ করতে থাকবে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্র কাঠামো ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার করার জন্য নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় পরিচয় ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পালা।
ঠিক সেই সময় জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন। নিজেদের দলীয় প্রার্থীদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। দলীয় প্রভাব বিস্তারের কৌশলের কারণে জনগণের নিরপেক্ষ মতামত নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জনগণ তাদের স্থানীয় কাছের নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে পারেন না। দলীয় প্রভাব বিস্তারের কারণে জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার প্রদান করলেও তারা সে অধিকার থেকে উপেক্ষিত হয়।
দলীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর যদি সকল ক্ষেত্রে সমাজের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হয়, তাহলে একটি সমাজ বা একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে চলতে পারে না। কেননা রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে ওঠে বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার সমন্বয়ের উপর। স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থার চাহিদার উপর স্থানীয় নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে না পারার কারণে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। যার কারনে স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে সমাজ দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে রূপান্তরিত হয়।
জাতীয় নির্বাচন না স্থানীয় নির্বাচন?
জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত নির্বাচিত হয়, অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজের মতামত নির্বাচিত হয়। রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত কে যদি স্থানীয় সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থা কখনো উন্নত হতে পারে না। কারণ একাধিক সমাজ ব্যবস্থার সমন্বয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠিত হয়। সমাজব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থা কে টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন উচিত। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা থেকে একটু হলেও স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় সরকার ব্যবস্থা সঙ্গে সমন্বয়ে সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করবে। এর মেয়াদকাল জাতীয় সরকার ব্যবস্থার থেকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটু বেশি হওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় সরকার ব্যবস্থা নির্বাচিত হবে। জাতীয় সরকার ব্যবস্থা মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার পরপরই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হবে। তারপর আবার নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনে স্থানীয় সরকার গঠন করে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় সরকার গঠন করার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এতে করে সমাজের প্রতিটি স্তরের নেতৃত্ব কে জনগণের সামনে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যার ফলশ্রুত জনগণ তাদের নেতৃত্বের উপর সন্তুষ্ট হলে পূর্বের নেতৃত্বকে আবারো পুনরায় নির্বাচিত করতে পারে। অথবা পূর্বের নেতৃত্বের উপর সন্তুষ্ট না হলে জনগণ তাদের পছন্দের নতুন নেতৃত্ব বাছাই করতে পারবে। এতে করে সমাজ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা দুটোই সমন্বয় ঘটানো সম্ভব।
ফলাফল
জনগণের নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া জনগণের মঙ্গলের জন্য। জনগণের মৌলিক চাহিদার উপর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়ে থাকে। কিন্তু যখন জনগণ মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের দ্বারা জনগণ তাদের কর্তৃত্বে স্বীকার হয় তখন স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়ায়। তখন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গিলে খায় স্বৈরতন্ত্রের বিষবৃক্ষ। সমাজ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যদি সমাজ ব্যবস্থার নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সমাজ ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্র ব্যবস্থা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে। গঠন হবে বৃহত্তর সমাজ ব্যবস্থার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত একটি রাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা।
তাই রাষ্ট্র গঠনের অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র গঠনের প্রাথমিক ধাপ অনুসরণ করা উচিত।
রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় নির্বাচন ব্যবস্থা!
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রয়াণ দিবসে সুরেলা সন্ধ্যা
রবিন রাফানের এআই মাস্টারক্লাসে অভূতপূর্ব সাড়া, দ্বিতীয় সিজনের ঘোষণা
যেভাবে অনলাইনে ভাইরাল হওয়া কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো
ঈদ সালামি থেকে ঈদী: সংস্কৃতির বিবর্তন
সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের পুরোনো মসজিদ
শিশু সাহিত্যের ধ্রুবতারা শিবুকান্তি দাশ
জনতার কন্ঠস্বর
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পাঁচ মসজিদ
স্কুলের দেওয়াল যেন প্রজাপতির পাখা
সান্তা ক্লজ আছেন বাস্তবেই, থাকেন কোথায় জানেন?
শীতে পরিযায়ী পাখিরা কীভাবে সহস্র মাইল পথ চিনে যায়-আসে?
শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভার পরামর্শ
শীতে প্রকৃতি উপভোগ করতে ঘুরে আসতে পারেন গ্রাম থেকে
কৃষিকাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া জিহাদ এখন ক্যাম্পাসে চা বিক্রি করেন
ঈশান হতে অগ্নি
কুমড়ার নৌকায় ৭৩ কিমি. পাড়ি দিয়ে রেকর্ড
বিশ্বের বৃহত্তম বন্দী কুমিরের মৃত্যু
বাংলাদেশের যে গ্রামে বাস করেন মাত্র ৪ জন
টি অ্যান্ড টেলস: এক অনন্য সাহিত্য বিকেল
যে ৭ আচরণ দেখে স্বার্থপর ব্যক্তি চিনবেন
যেসব দেশে মুসলিমদের বসবাস বা ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ!
ফ্রিল্যান্সিং এ শিক্ষার্থীদের দক্ষতা
শিশুকে যৌন নির্যাতন : ঝুঁকি নির্ণয় ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা
আপনার স্ত্রীকে যে কথাগুলো কখনোই বলবেন না
ইউরোপীয় ইস্তাম্বুলে কয়েকদিন
অভিভাকদের যেসব কাজে নষ্ট হয় শিশুর আত্মবিশ্বাস
কক্সবাজারে সমুদ্রস্নানে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস
শরৎ বন্দনা
আত্মবিশ্বাসী হওয়া দরকার